তিনি বলেন, দেশে অনলাইন পত্রিকার পাশাপাশি দৈনিক ও টেলিভিশনগুলোর অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। এগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।
‘ইতিমধ্যে আমাদের সংস্থাগুলো কয়েকটি অনলাইন নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা কাজ করছি। যে কেউ একটা অনলাইন খুলে বসল, সে আর পাঁচজনকে কার্ড দিচ্ছে, এভাবে চলতে পারে না। অনলাইনগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা দরকার এবং সেটার কাজ শুরু হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব হলে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও তথ্য অধিকার আইন অবহিতকরণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত জাতি গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য এ কর্মশালা আয়োজন করে।
প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, প্রেস কাউন্সিলের সেভাবে কোনো ক্ষমতা নেই। কার্যকর ক্ষমতার জন্য তারা আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই সেটা মন্ত্রিসভায় নেব।’
দেশের স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্র গঠন ও নতুন প্রজন্মের মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মন্ত্রী বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কমে গেছে। ‘অথচ এ ধরনের প্রতিবেদন সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।’
কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিক কারা হবেন তা ঠিক করতে হবে। এটি ঠিক না করলে পেশার মর্যাদা ধরে রাখা যাবে না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল।
প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।