দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সকল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এক জরুরি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাবেন না।’
অনুসন্ধানের টাইমলাইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে যারা টাইমলাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। কারণ এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।’
নথিতে কোয়ারি দিয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নীচে নামিয়ে দেয়া যাবে না। ‘কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো কোয়ারি দেয়া যাবে না। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারো গাফলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে দেয়া হবে না।’
কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রূঢ় আচরণের অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আচরণ এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সতর্ক হোন।’