রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রুলে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন প্রতিরোধে কার্যকর তদারকির ক্ষেত্রে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে হবে।
সিজারিয়ান সেকশন নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে তাদের আইন উপদেষ্টা এসএম রেজাউল করিম রবিবার এ রিট করেন।
আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে।
রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সাথে ছিলেন আইনজীবী আয়েশা আক্তার।
পরে রাশনা ইমাম বলেন, ‘আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একটি আদেশ দিয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি করবেন এক মাসের মধ্যে। ছয় মাসের মধ্যে একটি নীতিমালা আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি সি-সেকশন কোনো দেশেই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। এটার হার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ এবং সরকারি হাসপাতালে ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে এ হার ৩৯ ভাগ। এই উদ্বেগজনক বৃদ্ধি থামানোর জন্য রিট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত ২১ জুন বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে যে বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
সংস্থাটি আরও জানায়, ২০১৮ সালে যত সিজারিয়ান হয়েছে তার ৭৭ শতাংশই চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় ছিল।