হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, বিশেষ আইনে দায়ের মামলার এজাহার, বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে সঠিকভাবে বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারণ এ ধরনের মামলার সাথে অর্থ পাচারের মতো গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ থাকে।
আদালত আরও বলে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এখতিয়ার রয়েছে জামিন দেয়ার। তবে এক্ষেত্রে মামলার গুণাগুণ দেখে অত্যন্ত সতর্কভাবে জামিন দিতে হবে।
দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
রায়ের সাথে একমত পোষণ করেন বেঞ্চের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল দুই ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে দেন।
এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২৫ জানুয়ারি দুদকের করা মামলায় ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জামিন দেয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে ওই জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুল নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।