অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৭ মিনিটে সংসদে জাতীয় বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। তবে বাজেট পেশ করতে গিয়ে অসুস্থবোধ করেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মন্ত্রী বাজেট বক্তব্য দিতে পারছেন না। ‘যদি স্পিকার আমাকে অনুমতি দেন তাহলে আমি এটা পড়তে পারি,’ বলেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুমতি দিলে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট উত্থাপন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট দেশের ৪৮তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট। একাদশ সংসদে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের এবং মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট এটি।
জাতীয় সংসদের সামনে জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করার আগে বাজেট অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
আসন্ন অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ১৭.৯২ শতাংশ বেশি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের দায়িত্ব পাচ্ছে। এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কর-বহির্ভূত খাত থেকে আহরণ করা হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। আর বিদেশি অনুদান হিসেবে আসবে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য শুরু হওয়ার আগে সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর ১৫মিনিটের একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।