শনিবার তিনি বলেন, ‘আমার অর্থমন্ত্রী কঠোর আপত্তি করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন এটা বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না। আমার উপদেষ্টা বলেছিলেন এটা বিশ্বব্যাংক ছাড়া হবে না।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্তের সময় পুরো দেশ তার সাথে থাকলেও অর্থমন্ত্রী ও উপদেষ্টা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তবে সেই উপদেষ্টার নাম উচ্চারণ করেননি তিনি।
‘আমরা এখন নিজেদের অর্থে পদ্ম সেতু নির্মাণ করছি, এই একটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতুর জন্য তিনি, তার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে জয়, তার মেয়ে পুতুল ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ‘কিন্তু আমরা কারও কাছে মাথা নত করিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কীভাবে সব সময় মাথা উচুঁ রাখতে হয় তা দেশের মানুষকে শিখতে হবে। ‘আমাদের দেশ নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগে ভোট দেয়া আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি মানুষ মনে করে যে উন্নয়নের চাকা সচল থাকা উচিত, তাহলে আমি মনে করি তারা নৌকায় ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে।’
দেশের শিক্ষাখাত উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। ‘যে কারণে আমরা সব সময় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেই।’
শেখ হাসিনা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি জানান, সরকার আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন।