পারের অপেক্ষায় কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে। ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশায় গত তিনদিনে প্রায় ১১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা, বুধবার ভোর সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা এবং মঙ্গলবার ভোর ৪টার থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার দিনভর পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে পদ্মার উভয়ঘাটে শত শত যানবাহনকে আটকে থাকতে দেখা গেছে। নদী পার হতে যাত্রীবাহী বাসকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত। আর পণ্যবোঝাই ট্রাক পার হতে সময় লাগছে দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত।
তবে ট্রাক চালকদের অভিযোগ, দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত তারা ঘাটে আটকে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বাস পারাপার করায় তাদের বসে থাকতে হচ্ছে। এই সুযোগ ঘাট কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ট্রাকের সিরিয়াল দেয়াসহ বেশ কিছু অনিয়মের কথাও বলেন ট্রাক চালকরা।
চালকরা জানান, তারা নিয়মিত এই পথে চলাচল করেন। তবে শীতের পর গ্রীষ্মের সময় ঘন কুয়াশা পড়া তাদের নতুন অভিজ্ঞতা। এটা প্রকৃতির বৈরি আচরণ মনে করছেন। তবে এই বিপর্যয়ে ঘাট কর্তৃপক্ষের পারাপারে অবহেলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন চালকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সাধারণত কুয়াশার প্রকোপ থাকে না। এই বিষয়ে তাদেরও তেমন কোন প্রস্তুতি নেই। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে ঘন কুয়াশা পড়ায় ফেরি পারাপারে তারাও সমস্যায় পড়েছেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহীবাস পারাপার করায় পণ্যবোঝাই ট্রাককে বেশি সময় ধরে আটকে রাখতে হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
তবে তিনি আশা করছেন, এই বিপর্যয় বেশি দিন থাকবে না। শিগগিরই কুয়াশার প্রকোপ কমে যাবে।