ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফরিদা বেগম (২৬) সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফরিদার স্বজনরা জানান, প্রসব ব্যথা নিয়ে ফরিদা ২৫ মে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে সাফা মক্কা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস সিজারিয়ান করলে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিন দিন পর ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।
বাড়ি যাওয়ার পর প্রায়ই ফরিদার পেটে ব্যথা হতে থাকে। সম্প্রতি তা বেড়ে গেলে একই এলাকার বেসরকারি হ্যাপী হাসপাতালে পরীক্ষার পর পেটের মধ্যে গজ-ব্যান্ডেজের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের এক টুকরো গজ-ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়। এ অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান, রোগীর অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিল। সিজারিয়ানের সময় রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করা হয়েছিল। সেই গজ পচে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানান স্বপন কুমার।
এ ব্যাপারে আগের চিকিৎসক শ্যামল কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই রোগীর সিজারিয়ান তিনি করেছিলেন কি না তা মনে করতে পারছেন না। কবে কোথায় অস্ত্রোপচার করেছেন তা কাগজপত্র না দেখে তার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।
এ ঘটনার জন্য দায়ী চিকিৎসক এবং ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবি করেছেন ফরিদার স্বামী মাসুদ শেখ।