ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূমন ভূইয়াকে গ্রেপ্তারে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৩ কমান্ডার লে. কর্নেল শফিউল্লাহ জানান, অভিযানে ওই ভবন থেকে সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ও রুমন ভবনটিতে মাঝে মাঝে যেতেন। তবে শুধু তাদের গ্রেপ্তার করতেই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ও রুমনের আত্মীয় স্বজন ওই বহুতল ভবনে থাকতেন।
প্রসঙ্গত, মাদকের পাশাপাশি সম্প্রতি দেশজুড়ে জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সরকার। গত বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংম্যান ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে র্যাব।
পরবর্তীতে ক্লাবের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।
এছাড়া, রাজধানীর বনানী, মতিঝিল ও গুলশান এলাকার তিনটি ক্যাসিনো সিলগালা করে দেয়া হয় এবং আরও ৪০ জনকে আটক করা হয়।
পাশাপাশি, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাত দেহরক্ষীসহ ‘যুবলীগ নেতা’ গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অভিযানে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা ১৬৫ কোটি টাকার নথি এবং ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকার আটঘাট বেঁধে নেমেছে। দলের হোক বা যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন নির্দেশনা দিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।