আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম জানান, জাহানারা হক শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে এপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি আরও জানান, ‘আজ শনিবার বাদযোহর বনানীর ১১ নম্বর রোড সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামে মসজিদে পারিবারিকভাবে ও সীমিত পরিসরে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
গত ২৭ অক্টোবর থেকে এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা জাহানারা হক দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
প্রসঙ্গত, তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তার ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আইনমন্ত্রীর একমাত্র বড় বোন সায়মা ইসলাম ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। আর বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারান আইনমন্ত্রী। এরপর তিনি আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তার কোনো সন্তান নেই।
আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক মারা যান ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর। সাবেক এই সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৮ সালের ৩০
ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।