তিনি বলেন, ‘যথোপযুক্তভাবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে আমরা উপদেষ্টা পরিষদ, সভাপতিমণ্ডলী ও কার্যকরী পরিষদের সমন্বয়ে আট বিভাগে আটটি কমিটি গঠন করেছি।’
‘তাদের (কমিটির) দায়িত্ব হবে তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন করে গড়ে তোলা। কোথায় কমিটি আছে না আছে সেগুলো দেখা’, যোগ করেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে ২০২০-২০২১ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এটি সরকারি ও দলীয়ভাবে উদযাপন করা হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর পুরো জাতির ওপর অন্ধকার নেমে আসে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত সরকার পায়নি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হয়েছে। আজ বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তির পথে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে হ্রাস করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে উল্লেখিত মানুষের সব মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার পথে রয়েছি আমরা।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
দিন দিন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামীণ পর্যায়েও দৃশ্যমান হয়েছে। আজকে গ্রামের মানুষ দারিদ্র্য মুক্ত হচ্ছে, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে। এটাই জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।
সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনপ্রিয়তা কমে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, এবার যে নির্বাচনটা হয়ে গেল সেদিকে তাকালে দেখা যাবে সব শ্রেণি পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যেটা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। সবাই আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারো চেয়েছে তাদের সেবা করার জন্য। তারা সে জন্য ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নির্বাচনকে তারা টাকা কামানোর জন্য বেছে নিয়েছে। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রতি তাদের খুব একটা নজর ছিল না। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল নির্বাচন করার থেকে আসন বিক্রি করে বাণিজ্য করা। যার জন্য তাদের এ হাল।
বর্তমান সরকারের লক্ষ্য দেশের মানুষের উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমৃদ্ধির এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে… কেউ তা রুখতে পারবে না।’