তিনি বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীদের অন্য কোনো ব্যবসা করার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। তারা যাতে অন্য কোনো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে জন্য আমরা এ পরিকল্পনা করছি।’
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা অপরাধবোধের কারণে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং আত্ম-সচেতন হয়ে উঠছেন।
‘আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা মাদকাসক্ত তাদের চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদক দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের চলমান অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে জনসচেতনতার কারণে অনেক মাদক ব্যবসায়ী বুঝতে পেরেছেন যে মাদক ব্যবসা বা বহন একটি অপরাধ।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ২০১৮ সালে মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা দায়ের এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনকে আসামি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ২০০৯-২০১৮ সালে দেশব্যাপী ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৬টি লিফলেট, ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৮টি স্টিকার ও ১০ লাখ ১৭ হাজার ১৭১টি পোস্টার বিতরণ, ১ লাখ ২ হাজার ৮০২টি ব্যুলেটিন প্রকাশ এবং ৬৪ হাজার ৪৩৬টি আলোচনা সভা করেছে।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিজের জন্য নয় দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন।
‘এ জন্য জানার চেষ্টা করি মানুষের জন্য কী ভালো বা মন্দ। এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। মানুষ তাদের ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছে, তাই এ কাজকে আমার কর্তব্য হিসেবে নিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন যে ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়, বরং এটা জনসেবা করার বিষয়।
ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটালে পরিণত করবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে যানজটের পেছনে মূল কারণ হলো ট্রাফিক আইন না মানা। ‘প্রত্যেকে যদি ট্রাফিক আইন মানেন তাহলে এ ধরনের যানজট হবে না।’