বুধবার বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে নগরীর ভাটিখানা ও পলাশপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে ছয়জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- সুমন সরদার, আয়েশা আক্তার, মুন্না চৌধুরী, মনির হাওলাদার, তানভীর খান ও জুলহাস সরদার।
ঘটনার সাথে জড়িত সুমি আক্তার ও রেজাউলসহ আরও বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, ২০ জানুয়ারি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার কোটখালী এলাকার বাসিন্দা তারেক খানকে কাজের লোক দেয়ার কথা বলে বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকায় তানভীর খানের বাসায় নিয়ে যান আয়েশা আক্তার। সেখানে কয়েকজন মিলে তারেককে মারধর এবং জামা-কাপড় খুলে মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাকে জিম্মি করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তারেক এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা এনে দেন এবং বাকি টাকা পরে দেয়ার আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ২২ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা চান তারেক খান। পরে পুলিশের একটি দল নগরীর ভাটিখানা ও পলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জিম্মি করে আদায় করা ১৩ হাজার টাকা ও আটটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি প্রস্তুত করার অপরাধে মামলা করা হয়েছে।