ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান জানান, আবরার হত্যা মামলা মঙ্গলবার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার গ্রেপ্তার হওয়া ১০ নেতা-কর্মীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় মামলা করেন ভিকটিমের বাবা বরকত উল্লাহ।
সোমবার ভোরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা সন্দেহে রবিবার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে মারধর করে।
ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং দুই সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও এহতেসামুল রাব্বি তানিম।
হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এর আগে সোমবার আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ তাদের বুয়েট শাখার ১১ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে।