ক্ষতিপূরণের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকয়ারি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী শাহীন বাবুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ফয়েজ।
অ্যাডভোকেট একেএম ফয়েজ বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা বুয়েটকে দিতে হবে। এছাড়াও রিটে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই রিটের আদেশ হলে আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের স্বীকার শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবো।’
রিটে বুয়েট কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি, ডিএমপি কমিশনার, চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রিটকারী এই আইনজীবীরা
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।