মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের লাভবান করার জন্য সরকার তাদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি ক্রয় করবে।’
মন্ত্রী জানান, সরকারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল ১২ লাখ টন চাল ও দেড় লাখ টন ধান কেনা। কিন্তু এবার বোরো উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকরা ধানের দাম বেশি পাচ্ছেন না বলে সরকার আরও আড়াই লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে মোট চার লাখ টন ধান কিনবে সরকার।
‘গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে কৃষিমন্ত্রী ও আমার বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের লাভবান করার জন্য এ মুহূর্তে তাদের কাছ থেকে আরও বেশি ধান কেনা হবে,’ যোগ করেন সাধন চন্দ্র।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা দরে কিনবে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেড় লাখ টন ধানের মধ্যে ৩০ হাজার টন কেনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী যে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে তার কাছ থেকে দ্বিতীয়বার কেনা হবে না।
তবে, একই সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রয়োজনে চার লাখ টন থেকে বাড়িয়ে আরও ১-২ লাখ টন ধান কেনা হতে পারে।
তিনি জানান, চাল রপ্তানির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী এফবিসিসিআই ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছেন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাথে কথা হয়েছে।
‘আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে মিলারদের দেব চালে রূপান্তর করার জন্য। এ কাজে মিলারদের খরচ দেয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
ধানের দাম কম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষকদের লাভবান করার জন্য। তাই আমরা আরও বেশি ধান কিনব।’
কিন্তু মজুদের জন্য যথেষ্ট গুদাম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যে গুদাম আছে সেখানে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টন খাদ্য মজুদ রাখা যায়। বর্তমানে ১৩-১৪ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। ‘আমাদের আরও খাদ্য গুদাম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।’