মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে দুই দিনব্যাপী ‘দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া মেরিটাইম অ্যান্ড লজিস্টিক ফোরাম-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে, যার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা অর্জিত হয়েছে।
তিনি জানান, অর্জিত এলাকার সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৫৪ নটিক্যাল মাইলের অধিক সমুদ্রতলদেশের সম্পদ।
বাংলাদেশের ভূভাগে যে সম্পদ রয়েছে তার ৮১ শতাংশ সম্পদ দেশের সমুদ্র এলাকায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও বাজার সম্প্রসারণের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বড় নজর পড়েছে, যা লজিস্টিক ও মেরিটাইম সংক্রান্ত সেবা বিস্তারে বিপুল সুযোগ তৈরি করেছে।
‘দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে নৌপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে সমুদ্রের বিপুল সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য সরকার ব্লু ইকোনমি পলিসি গ্রহণ করেছে। এসব সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থসামজিক উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় সরকার বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তুত এবং অনুমোদন করেছে। যার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক, নৌপরিবহন, রসায়ন ও সার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মানসুখ লক্ষ্মণভাই মান্দাভিয়া এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় নীতি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. হার্ষা ডি সিলভা।
উল্লেখ্য, প্রথম সাউথ এশিয়া মেরিটাইম অ্যান্ড লজিস্টিক ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের মুম্বাইয়ে।