এনআরসিতে বাদ পড়া কেউ যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বর্ডার গার্ড (বিজিবি) নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
বিজিবির সিলেট সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল এএম খায়রুল গণমাধ্যমকে বলেন, আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। বাদ পড়া লোকজন যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সদস্যদের সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকেও সচেতনতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার সাথে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। দেশটির আসাম রাজ্যের মূল সংযোগ মূলত জকিগঞ্জের সাথে। এসব এলাকার প্রতিটি সীমান্তেই সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।
তবে সীমান্তের ওপারে এখনো কোনো গোলযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজিবি-১৯ (জকিগঞ্জ) ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন।
এদিকে সীমান্ত এলাকার থানাগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নজরদারি করা হচ্ছে। বিজিবির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. আমিনুল ইসলাম।
বিজিবি-৪৮ (সিলেট) ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল বলেন, আসামের নাগরিক তালিকা থেকে ১৯ লাখের অধিক মানুষ বাদ পড়লেও বাংলাদেশ সীমান্তে এর কোনো প্রভাব পড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ‘তবুও সব রকম সতর্কতা আমাদের আছে।’
কোনো রকম পুশ-ইন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক বলা যাচ্ছে না। তবুও তারা যদি এমন কিছু করতে চায় তাহলে আমরা প্রতিহত করব।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেট জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’