বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় রামু ফতেখারকুলে বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতদের দেখতে বুধবার রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ছুটে যান কক্সবাজার-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে আহত সমর্থকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে শতাধিক নৌকা মার্কার সমর্থক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপির কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী, উপদেষ্টা আব্দুল করিম সওদাগর, যুগ্ম সম্পাদক টিপু সুলতান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুল আবছার মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম, রামু উপজেলা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষকদল সাধারণ সম্পাদক হেমসেল সরওয়ার, যুবদলের অর্থ সম্পাদক শওকত আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদস্য মুবিন উল্লাহ, সিরাজুল হক, রাশেদুল করিমসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ফেরদৌস, জসিম উদ্দিন, আবদুল গফুর, ছৈয়দ আলম, আবদুল হামিদ, আবুল হাশেম, মামুনুর রশিদ, নুরুল আলম, মোহাম্মদ হোছন, নাসির উদ্দিন, মোকতার আহমদ, ডা. আবদুল করিম, মো. কালু, মতিউর রহমান, রিদওয়ান, আবদুর রহমান, জহির আলম, মোস্তফা কামাল প্রমুখ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় হয়েছে।
বিএনপির মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষে নেতাকর্মীরা অফিসে বসলে অতর্কিত স্বশস্ত্র হামলা করে আওয়ামী লীগের ক্যাডারেরা। হামলার সময় আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন। তার নিদের্শেই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটে। মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়েছে দলের অনেক সিনিয়র পর্যায়ের নেতাকে। এ সময় অফিসের সামনের থাকা ৭টির মতো মোটরসাইকেল হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসও।
এব্যাপারে রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী জানান, এমপি কমলের উপস্থিতিতেই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়। হামলার জন্য তিনি নিজেই উসকে দেন নেতাকর্মীদের।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।