শনিবার রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমানের ভাষ্য, ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জলিলের তথ্য অনুযায়ী তাকে সাথে নিয়ে শনিবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে কৃষ্ণনগর বাজারে যায় পুলিশ। কিন্তু এলাকাবাসী পুলিশের কাছ থেকে জলিলকে ছিনিয়ে নেয়। পরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণনগর যুবলীগ অফিসের সামনে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোশাররফ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।
এ হত্যা মামলায় গত এক সপ্তাহে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গত শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈ উপজেলার মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
স্থানীয়রা জানায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত ছহিল উদ্দীন কাগুজীর ছেলে মোশাররফ হোসেন এলাকার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। দুইবার নির্বাচিত এ চেয়ারম্যান চুরি ডাকাতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন বলেই দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।