এ ব্যাপারে কার্ডধারী তুলসী হালদার, রাসমনি মিস্ত্রি ও অমৃত গাইন বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইউপি সদস্য মনোরঞ্জর বালার ৩নং ওয়ার্ডে বিতরণের জন্য ১৭টি বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ করে সরকার। তিনি এই কার্ড বিতরণের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করেছেন।
এছাড়া, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কার্ডধারীরা সোনালী ব্যাংক ঘাঘর বাজার শাখা থেকে ছয় হাজার টাকা করে ভাতা উত্তোলন করেন। এসময় একরকম জোর করে প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে নেন মনোরঞ্জন।
মুশুরিয়া গ্রামের কার্ডধারী তুলসী হালদার বলেন, ‘বয়স্ক ভাতার ছয় হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলাম। কিন্তু ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা নিয়ে বের হওয়ার পর মনোরঞ্জন আমার কাছ থেকে জোর করে তিন হাজার টাকা নিয়ে যায়।’
একই গ্রামের কার্ডধারী অমৃত গাইন বলেন, ‘আমার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়েছে।’ ভাতার টাকা উত্তোলনের পর তার কাছ থেকেও তিন হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে মনোরঞ্জন বালা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কার্ড দেয়ার আগে আমি কোনো টাকা পয়সা নেইনি। এমনকি বয়স্ক ভাতা উত্তোলনের পরেও আমি কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ হয়রানি করার জন্য আমার নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।