ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ ও এসএম শাহজাহান। তাদের সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।
মনিরুজ্জামান জানান, মামলায় কোনো চাক্ষুস সাক্ষী না থাকায় এবং একমাত্র স্বীকারোক্তিকারী আসামি শ্রাবণীর সাক্ষ আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় উচ্চ আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা।
২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার আসামি নিপুন, মামুন ও ডগু খন্দকারকে মৃত্যুদণ্ড, তুষার কাজী, জনি, শ্রাবণী ও শেখ নাজমুলকে যাবজ্জীবন এবং মনিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
২০১০ সালের ৩০ আগস্ট গোপালগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সাদিয়া নূর মিতা। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিতার বাবা লিয়াকত হোসেন মোল্লা গোপালগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।