তিনি বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। গত ৯ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।’
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
‘একই সময়ে সার্বিক মাছের উৎপাদন ২৭ লাখ এক হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৪০ লাখ মেট্রিক টন থেকে এটি ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। তাই ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন যেমন পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে তেমনই সার্বিক মাছে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন হবে,’ যোগ করেন তিনি।
দেশের প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে মৎস্য খাতে জড়িত এবং ১১ শতাংশের অধিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতের ওপর নির্ভরশীল বলে জানান মন্ত্রী।
তার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক, যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন প্রায় ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণ চন্দ্র আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলে মৎস্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে ইলিশ মাছের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন প্রথমস্থানের অধিকারী তেমনই আমরা একাই ৭০-৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকি।’
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ইলিশের ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকার ইলিশের স্যুপ, নুডলস ও পাউডার তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ইতিমধ্যে তা বাজারজাত শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৩০৫ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে চার হাজার ২৮৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল তিন হাজার ২৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা।