বুধবার রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশেষ ট্রেনগুলো হলো- দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (দুই জোড়া), খুলনা ঈদ স্পেশাল, ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল, লালমনি ঈদ স্পেশাল, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও সোলাকিয়া স্পেশাল-২।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২২ মে থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে এবং তা চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। আর ফেরার টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
৩১ মে যাত্রার টিকিট পাওয়া যাবে ২২ মে। সেই সাথে ১, ২, ৩ ও ৪ জুনের টিকিট যথাক্রমে ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ মে দেয়া হবে। ঈদ শেষে ফেরার জন্য ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট যথাক্রমে ২৯, ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন মিলবে।
নূরুল ইসলাম আরও জানান, এ বছর প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিভিন্ন স্টেশন থেকে বিক্রি করা হবে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেনের টিকিট কমলাপুর, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর টিকিট বিমানবন্দর, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের টিকিট তেজগাঁও, নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেসের টিকিট বনানী এবং সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকিট ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেল ভবন) স্টেশন থেকে বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বা যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী কাউন্টার থাকবে।
যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ঈদের তিন দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যকোনো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিন পূর্বে ৩১ মে থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনগুলোর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না। যার ফলে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে প্রায় ৪৮টি ট্রেন বিশেষ ট্রিপ হিসেবে পরিচালিত হবে।
মন্ত্রী জানান, যাত্রীরা ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং বাকি টিকিট স্টেশন কাউন্টার থেকে অগ্রিম ক্রয় করতে পারবেন। তবে বিশেষ ট্রেনের কোনো সিট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না।