সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ঈদুল আজহার জামাত। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদগাহ মাঠ জুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হচ্ছে। মাঠের আশপাশে মোতায়েন থাকছেন বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এরই মধ্যে প্রশাসনের সাথে মুসল্লিদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মাঠ ভরাট, মিনারে রঙ করা, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, মাইক লাগানো এবং অস্থায়ী ওজুখানা ও টয়লেট স্থাপন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে এ ঈদগাহর উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ময়দান পরিদর্শন করেন। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে মুসল্লিরা যেন বৃহত্তম জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য নেয়া সব ধরনের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার আবু সায়েম জানান, জামাতে নিরাপত্তার জন্য র্যাব, পুলিশ, আনসার এবং সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। একই সাথে পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। কয়েকটি পথে মুসল্লিদের তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনো বস্তু নিয়ে মুসল্লিরা মাঠে ঢুকতে পারবেন না।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। এতে ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মিনারের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৪৭ ফুট। এছাড়া ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো মিনার সিরামিক দিয়ে ঢাকা। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনার লাইটিং করা। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে উঠে।