শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮ এ এই তথ্য তুলে ধরেন।
সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতিবেদনটি তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রীক সড়ক দুর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। এছাড়া প্রতিবেদনে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনে সারাদেশে ব্যাপক নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। পুলিশ, র্যাব, বিআরটিএ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতা ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার থাকায় এবারের ঈদযাত্রায় বিগত ঈদুল ফিতরের তুলনায় প্রাণহানি কমেছে ২৩.৫৯ শতাংশ।
তবে গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় দুর্ঘটনা ১৩.৫০ শতাংশ ও আহত ১১.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল আজহায় যাত্রা শুরুর দিন ১৬ আগস্ট থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত ও ৯৬০ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে বলে জানায়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, বিরতিহীন/বিশ্রামহীন ভাবে যানবাহন চালানো, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ চালক-হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটর সাইকেল অবাধে চলাচল, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা এবং সড়ক-মহাসড়কে বেহাল দশার কারণে এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।