প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতে গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।
‘কিন্তু চূড়ন্ত বিচার পাচ্ছি না, আমরা দণ্ড কার্যকর করতে পারছি না, জনগণ দ্রুত দণ্ড কার্যকর দেখতে চায়, নিম্ন আদালতে সফলভাবে রায় পাচ্ছি, কিন্তু আপিল বিভাগে গেলে আটকে যাচ্ছে, নিম্ন আদালতে বিচার পেয়েই আমরা বলতে পারব না আমরা বিচার পেয়েছি,’ বলেন তিনি।
এসময় কামরুল নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার, সিলেটের রাজন হত্যা ও বিশ্বজিত হত্যাসহ দেশের আলোচিত মামলাগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
নুসরাত হত্যার কথা উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, নুসরাত হত্যার বিচার চলছে, সাক্ষী চলছে এবং বিচারের গতি দেখে মনে হচ্ছে দুই-তিন মাসের মধ্যেই রায় হবে। ‘আশা করি সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে তিনি পেপার বুক দ্রুত করে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে পরামর্শ দেন।
কামরুল বলেন, ‘দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন, যাতে আমরা সাধারণ মানুষের দাবি পূরণ করতে পারি।’
বরগুনার রিফাত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে, তবে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে।
‘নিষ্ঠুরতা বেড়েছে...দুই দিন আগে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। যারা ভাইরাল করছে কেউই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না, এই ধরনের মামলার বিচার দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা উচিৎ,’ বলেন তিনি।