বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ২০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দী তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হয়েছে। জোর দেয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর। শিক্ষাকে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র বাড়াতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৩টি। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা। এটি করা না গেলে একদিকে যেমন উচ্চশিক্ষার হার বাড়বে তেমনি শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও বাড়বে। এটি মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে।
‘আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে উচ্চশিক্ষার গুণগত মানের সাথে কর্ম, মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা জড়িত। তাই গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার সাথে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না। মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার সর্বোচ্চ কেন্দ্র, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। আমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃত জ্ঞানদান ও গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করতে অব্যাহত প্রয়াস চালাবে,’ যোগ করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি হামিদ ডিগ্রি প্রাপ্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশকে গড়ে তোলার সংগ্রামে তোমাদেরও অংশ নিতে হবে। দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সাথে তোমরা অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে ৮২৫ জন স্নাতক এবং ৩৪১ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অসাধারণ ফল অর্জনকারী একজন উপাচার্যের স্বর্ণপদক এবং চারজন পদক ও ক্রেস্ট পেয়েছেন।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক এম. ওমর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী।