তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। নেতৃত্ব বিকাশের আদর্শ স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি জাগিয়ে তুলতে হবে।’
রবিবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ছাত্র রাজনীতি হবে আদর্শভিত্তিক। দল বা ব্যক্তি নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র ও আদর্শিক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তা হলে দেশে গড়ে উঠবে ত্যাগী, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্ব।
‘তাছাড়াও অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক বা জঙ্গি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
এসময় রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মহান মুক্তিসংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠদানের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগ’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ চালুর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিসংগ্রামের আত্মত্যাগ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ইতিহাসকে বিবেচনায় নিয়ে সকল শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শিরোনামে একটি কোর্স পড়ানো হয় জেনে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।
‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেননা ভৌগোলিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন স্থানে অবস্থিত যেখান থেকে ব্লু-ইকোনমি, ডেল্টা ফরমেশন, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, ইকো ট্যুরিজমসহ নানাবিষয়ে মৌলিক গবেষণা পরিচালনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।