‘নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজন নারীর পরিচয় তাদের স্বজনরা শনাক্ত করেছেন,’ সোমবার সকাল ৯টার দিকে বলেন কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি।
মনোয়ারা কুলাউড়া পৌরসভার টিটিডিসি এলাকার আব্দুল বারীর স্ত্রী। তিনি রবিবার রাতে সিলেটে মেয়ের বাসা থেকে ট্রেনে করে কুলাউড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। তার সাথে মেয়ে ও ভাগনি ছিলেন।
দুর্ঘটনায় ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে মাথা, মুখ ও বুকে আঘাত পান মনোয়ারা। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পাশাপাশি সাথে থাকা মেয়ে ও ভাগনি আহত হন।
নিহত আরেক নারী ফাহমিদা সিলেটের মোগলাবাজার থানার আব্দুল্লাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নার্স ছিলেন।
ফাহমিদার ভাই আব্দুল হামিদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন।
তিনি জানান, নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য সিলেট থেকে একটি দলের সাথে ঢাকা যাচ্ছিলেন ফাহমিদা।
রবিবার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে বনশাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় সেতু ভেঙে ট্রেনের একটি বগি নিচে পড়ে যায় এবং বাকি চারটি বগি সেতুর পাশে কাত হয়ে পড়ে।