‘একটি সরকার সফলতার সাথে কাজ করতে পারে যখন তার পেছনে একটি সুসংগঠিত দল থাকে। একটি সুসংগঠিত দল সরকারের বড় শক্তি এবং আমি মনে করি, এই শক্তি একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের প্রথম যৌথসভায় এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই সভাটি তার প্রতি উৎসর্গ করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৬৮ বছর বয়সে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
নিজের দলকে সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বিভ্ন্নি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন দ্রুত আয়োজনের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো দলকে আরো শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
এসময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করার বিষয়েও জোর দেন দলের প্রধান।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কখনো দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। এজন্যই তারা দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে এবং এটিই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৪ বছর সংগ্রামের পর দেশের যে স্বাধীনতা অর্জন হয় সেটিকে অর্থবহ প্রমাণ করা এবং এটি অবশ্যই বৃথা যাবে না।
২০২০ সালকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর দেশ ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করবে। জাতির পিতা আমাদের যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আমরা তা আরো অর্থবহ করে তুলব। আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব যাতে দেশের জনগণ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এবং এটিই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
১৯৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রায়ই বলেন যে আ’লীগ নেতারা স্মার্ট, আধুনিক ও শিক্ষিত নয়।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজেদের স্মার্ট দাবি করে ক্ষমতায় এসেছিল তারাই লুটপাট, অর্থপাচার এবং দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছিল। নিজেদের জন্য অর্থ উপার্জনই তাদের জন্য স্মার্টনেস ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে যে একমাত্র এই দলই দেশের উন্নয়ন করতে পারে এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ গত ১১ বছরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জানে যে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে সংগঠনের জন্য নিবেদিত হয়েছেন।
‘আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি জনগণের জন্য কাজ করে চলেছে এবং এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধরে রাখতে হবে,’ উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।