একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
১০টি প্রকল্পের মধ্যে পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপনের (ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে।
‘একনেক সভায় মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্প বাদে এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪৬৭ দশমিক ২৩ কোটি টাকা,’ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন।
এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে ৮ হাজার ২৭১ দশমিক ২৩ কোটি টাকা এবং বাকি ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা বৈদেশিক খাত থেকে নেয়া হবে, জানান তিনি।
অনুমোদিত ১০ প্রকল্পের মধ্যে ৩ হাজার ৭১২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকার ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-এসইআইপি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পও রয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পটি জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৭২৯ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি) পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ; ৩৮৮ দশমিক ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-আরিচা-মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাট নামক স্থানে তিনটি সেতু নির্মাণ; ১ হাজার ৭১০ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা তদারকি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন এবং ২৫০ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া আরও যে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা হলো- ১ হাজার ৭২৩ দশমিক ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩ (আরইআরএমপি-৩); ৫৫৭ দশমিক ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মার শাখা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে নওয়াপাড়া এলাকা এবং পদ্মা নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে চরআত্রা এলাকা রক্ষা এবং ৬৩২ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প।