রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে ব্যয় হবে ১২ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।’
মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারিভাবে অর্থায়ন করা হবে ৯ হাজার ৪৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং বাকি ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে, জানান মন্ত্রী।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি নতুন এবং বাকি তিনটি সংশোধিত।
বড়পুকুরিয়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনস্থ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এর ফলে ভারতের ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং তা কালিয়াকৈর হতে সিলেট, চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এ প্রকল্পের মোট খরচের মধ্যে ১ হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে। সেই সাথে ১৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ভারতের ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট থেকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে।
বাকি নয়টি নতুন প্রকল্প হলো- ৮৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ‘মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্প, ৭৪৭ কোটি ৯ লাখ টাকার ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের (এন-১০৪) ২-লেন অংশ (মহিপাল হতে চৌমুহনী পূর্ব বাজার পর্যন্ত) ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ‘মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের সিন্দুকছড়ি হতে মহালছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প, ৪৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার ‘মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহ’ প্রকল্প, ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্প, ৩০২ কোটি ৬০ লাখ টাকার ‘কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ভাঙনরোধ’ প্রকল্প, ৬৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার ‘সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প, ২৬৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ’ প্রকল্প ও ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ‘কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হলো- ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার ‘বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ৩৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ‘ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প ও ৭৯৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ‘গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।