পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও র্যাবকে অধিক শক্তিশালী করা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য জাল পাতা হয়েছে। সেই জালে তাদের ধরা পড়তেই হবে। এ ছাড়া আইনও কঠোর করা হয়েছে। কোনো মাদক ব্যবসায়ীর নিস্তার হবে না, যোগ করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বহুল আলোচিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। উন্নয়নের গতিধারায় কেউ বাধা হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতি ও মাদক এখন উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়াবা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে মাদক কারবারি ও পাচারকারীদের নির্মূল করা হবে।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মম জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘মাদক নিয়ে আত্মসমর্পণ দেশে এই প্রথম। যারা আমাদের ডাকে আত্মসমর্পণে সাড়া দেয়নি তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’
জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি মাদক ও অন্যটি অস্ত্র আইনে। এছাড়া যেসব আত্মসমর্পণকারীর বিরুদ্ধে পুরনো মামলা রয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে।
তিনি আরও জানান, আত্মসমপর্ণকারী ১০২ জনকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এর আগে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ ইয়াবা কারবারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তারা সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্র জমা দেন।
আত্মসমর্পণকারী এসব ইয়াবা কারবারিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করলেও তাদের কারাবরণ করতে হচ্ছে। এছাড়া আত্মসমর্পণকারীদের ৯টি শর্ত দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ (১১৫১ জন) এবং সর্বশেষ গডফাদার (৭৩ জন) তালিকার মধ্য থেকে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে ৩৯ জন গডফাদার রয়েছেন।