তিনি বলেন, ‘তারপরও (১৯৮১ সালে তার দেশে ফেরা) এক বা দুবার আমাদের মাঝে ভাঙন ধরেছে। আমি ভাঙনের পর সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছি। সারা দেশ ঘুরে এটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছি। আজ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী সংগঠন।’
রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাঝ দিয়ে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অনেক চেষ্টা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও এমনকি খালেদা জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে।
‘কিন্তু আদর্শভিত্তিক সংগঠন আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বলে একে ধ্বংস করা যায়নি। ‘যদিও এটি সময়ে সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু একে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা যায়নি,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে জাতীয় সংগীত বাজানো, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়ানোর মাঝ দিয়ে দেশের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দলটির সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
তিনি জাতীয় পতাকা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের পাঠ করা শোক প্রস্তাব গ্রহণ করার পর ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকরা আট বিভাগের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম যৌথভাবে উদ্বোধনী অধিবেশন সঞ্চালনা করেন।
সম্মেলনে ১৫ হাজারের মতো কাউন্সিলর ও প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সেই সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও পেশার নেতা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা দেশের সাড়ে সাত হাজারের মতো কাউন্সিলর যোগ দেবেন।