জতিসংঘের সংস্থাগুলোর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সরকারের অধীনে দ্রুত ও কার্যকর মানবিক সহায়তার কারণে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে অসংখ্য শিশুর জীবন বেঁচেছে এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে সুরক্ষার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়েছে।
শনিবার এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট মোকাবেলায় শুক্রবার জেনেভায় ২০১৯ সালের জন্য জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর মাধ্যমে সরকারের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন সেবার সাথে সামাজিক বিভিন্ন সেবার সমন্বয়ের মাধ্যমে শিশুদের সুরক্ষা পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেআরপির দেয়া তথ্য অনুসারে, মোট রোহিঙ্গার ৫৫ শতাংশ শিশু। তিন লাখ ৪৩ হাজার ২০৬ জন শিশুর জন্য এখনই সুরক্ষা সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিয়ানমারে ব্যাপক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করা রোহিঙ্গা শিশুরা উচ্চ পর্যায়ের হতাশায় ভুগছে। পাশাপাশি তারা জীবন জীবিকার জন্য শিবিরে অব্যাহত চাপের সম্মুখীন হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে জেআরপি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, রোহিঙ্গা শিবিরের ৬ হাজার ১০০ শিশুর তালিকা করা হয়। যারা শিশু পাচার, নির্যাতন ও শোষণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছড়াও শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ নারী (৫৭.১৪ শতাংশ)। দুর্দশাগ্রস্ত এ নারীরা বাল্যবিয়ে, যৌন নির্যাতন, নির্যাতন ও অবহেলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জেআরপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপি গুরুতর মানবিক সহয়তা প্রয়োজন এমন রোহিঙ্গাদের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।