মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি করে রবিবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি হলেন- শাকিল সিকদার। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকান।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ জুন আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন নিম্ন আদালত। রায়ে শাকিল সিকদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা। এছাড়া ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসে। আজ আপিল ও ডেথরেফারেন্স খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল যোগে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন আতিক। পথে মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তারা আতিকের পেটে গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।