মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলিসন ব্লেকের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় বিদায়ী হাইকমিশনার ব্লেক দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা পর্যালোচনা করার জন্য সংলাপকে একটি ‘বিস্ময়কর কাঠামো’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ মার্চ লন্ডনে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক, দ্বিপাক্ষিক বিষয়, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে ‘ফলপ্রসূ মতবিনিময়’ হয়েছিল।
দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে হাইকমিশনার ব্লেকের নিবেদিত ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোকে আরও বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য আলিসন ব্লেকের অব্যাহত সহায়তা চান।
যুক্তরাজ্যে বিশেষ করে সিলেট থেকে অর্ধ-লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনারকে যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রক্রিয়াকরণকে আরও ঝামেলামুক্ত করার আহ্বান জানান মোমেন।
বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের সকল প্রকার সমর্থনের জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্কে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আশ্বস্ত করে বলেছেন, অস্ত্র ছাড়া (এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ) বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল বাণিজ্য সুবিধা পাবে।
রোহিঙ্গা সংকটে টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী নেতৃত্ব জোরদারকরণে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনার ব্লেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমের সাথেও সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে সকল সহায়তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমান রাজনৈতিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস মোকাবিলা, এবং যুক্তরাজ্যে আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপ সম্পর্কে তারা মতবিনিময় করেন।
দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী ৭ মার্চ আলিসন ব্লেকের বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।