সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) ঢাকার বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশ সরকারের নবম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। সে অনুযায়ী তিনি প্রথম শ্রেণির নাগরিক। যদিও একজন ওসি সরাসরি প্রথম শ্রেণির নাগরিক না। তবে এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা আছে। দয়া করে আপনি ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন।’
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম ডিভিশনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘আসামি বর্তমানে বরখাস্ত। তাই তার ডিভিশন বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী জেল সুপারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ জুন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জন্য কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। এরপর বিচারক ডিভিশন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর ওসি মোয়াজ্জেম ১৫ দিন পলাতক ছিলেন। গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানার পুলিশ। ১৭ জুন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় একই ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামালটি দায়ের করেন।