টেকনাফের খারাংখালি এলাকায় নিহত দুইজনকে মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে বিজিবি বলছে, তারা রোহিঙ্গা নাগরিক। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
অপরদিকে পেকুয়ার মগনামা উপকুল এলাকায় নিহত দুই ব্যক্তিকে জলদস্যু দাবি করা হলেও তাদেরও নাম ও বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করেনি র্যাব।
বিজিবি-২ কমান্ডিং অফিসার শরিফুল ইসলাম জমাদ্দারের ভাষ্য, বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। এসময় ভোর সাড়ে ৪টায় একদল রোহিঙ্গা খারাংখালি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি সদস্যদের গুলি ছুড়ে। পাল্টা গুলি ছুড়ে বিজিবি। পরে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
‘ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করার কথাও জানিয়ে বিজিবি’র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতদের মরদেহ টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেহেদি হাসানের ভাষ্য অনুযায়ী, জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা উপকুল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই জলদস্যু নিহত হয়েছেন।
তবে, নিহতদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
র্যাবের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে জলদস্যুদের একটি দল কোনো নৌযানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। র্যাব ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে তারা গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গুলি বিনিময়ের পর দুই জলদস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
‘ঘটনাস্থল থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬টি বুলেট উদ্ধারের কথা জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মরদেহ পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।