নিহত তারেক (৩০) কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং এলাকার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে। তিনি ওই এলাকার জলদস্যু দল দিদার বাহিনীর প্রধান দিদারের মূল সহযোগী বলে দাবি করেছে র্যাব।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কয়েকদিন আগে দিদার বাহিনী বঙ্গোপসাগর থেকে কয়েকটি মাছ ধরার নৌকাসহ জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের মুক্তিপণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দেন দরবার চলছিল।
তারেকসহ একদল জলদস্যু মঙ্গলবার রাতে মুক্তিপণের টাকা আদায়ে উপজেলার মগনামায় আসেন। এসময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালালে জলদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
পরে জলদস্যু বাহিনী পিছু হটলে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটার গান, ২৩ রাউন্ড তাজা ও চার রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ এবং জলদস্যু তারেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদাউস জানান, তারেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, দস্যুতা ও ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।