বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক যখন ছিল না তখন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে দেশের মানুষ বঞ্চিত হতো। এই কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এই ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর আবার এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এতে করে দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছে। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা যেমন, ডায়রিয়া, জ্বর, শর্দি এবং কাশি জাতীয় প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই ক্লিনিকের চাহিদা এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, মানুষ এখন এসব ক্লিনিক থেকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দাবি করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কীভাবে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবছি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে , আবার যে ইউনিয়নে জনসংখ্যা বেশি সেসব ইউনিয়নে আরও বেশি সংখ্যাক কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্ধতি আজ সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবও আমাদের এই কমিউনিটি ক্লিনিক ভিজিটে গিয়েছিলেন। ভারতসহ বেশকিছু দেশ আমাদের এই কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।
আগামী ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আপনাদের (সাংবাদিক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ধরনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমি আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করছি।’