যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস: প্রটেক্টিং দ্য মোস্ট ভালনারেবল’ শীর্ষক এক ওয়েব সেমিনারে (ওয়েবইনার) ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিমত তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের গ্লোবাল কম্প্যাক্ট আয়োজিত এ সেমিনারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এবং ন্যাটুরা কোম্পানির চেয়ারম্যান রবার্ট মারকুইসও অংশ নেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকট মোকাবিলায় বেশ কিছু উদ্দীপনা প্যাকেজসহ তার সরকারের তরফ থেকে দুই ধাপে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার সার্বিক একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে তিনি রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার জরুরি প্রণোদনা প্যাকেজ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার চারটি নতুন আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এছাড়া, কৃষি খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩০টি পরিবার তথা তিন কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৮ জনের কাছে সরকারের চাল ও নগদ টাকার সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে শিশুদের জন্যও আলাদাভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পরিত্র রমজন উপলক্ষে দেশব্যাপী ৪৯৮টি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য টিসিবির মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষও এগিয়ে এসেছেন।
সরকারের পাশাপাশি গার্মেন্টস সংগঠনগুলো তাদের কারখানার কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন আনিসুল হক।