সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম লেখেন, ‘আমাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের নাগরিক যারা চীন থেকে ফিরতে চাইবেন তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চীন সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০
তবে কি প্রক্রিয়ায় এটি (চীন থেকে ফিরিয়ে আনা) করা হবে তা বাস্তবতার নিরিখে চীনের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সম্মতির ভিত্তিতে করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিষয়ে আজকের দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে যার মূল উদ্দেশ্য থাকবে আগ্রহীদের তালিকা প্রনয়ণ।’
প্রসঙ্গত, চীনে গত ডিসেম্বরে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮০ জন মারা গেছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য মতে, রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে চীন চাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়াতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, শিকাগো, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
কানাডায়ও প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি চীনের উহান থেকে জিয়াংজু এবং সেখান থেকে টরেন্টো গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: চীনে করোনাভাইরাস: ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিতের কথা ভাবছে সরকার
এদিকে, ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৮৬-১৭৮০১১১৬০০৫) চালু করেছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বাংলাদেশি চীনের উহান প্রদেশে থাকে। যেখানে প্রথমবারের মতো নতুন এই করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
তার আগে, বেশ কিছু শিক্ষার্থীর পক্ষে ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান উহান প্রদেশের ইয়াংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক সজিব হোসেন।
ওই শিক্ষক জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সেখানে রয়েছেন।