এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৬১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে শনিবার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৪ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫২৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১১ হাজার ৭৩৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৭টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.২৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০.৪২ শতাংশ।
নতুন যে ৩২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী সাতজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৫৫ জন বা ৭৮.৯০ শতাংশ এবং নারী ৭১০ জন বা ২১.১০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুসারে, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ২১ হাজার ৪০৯ জন।
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ১০০ জন।
সিএসএসই’র তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৬৩৫ জনে পৌঁছেছে।
দেশটিতে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন, খবর সিনহুয়া।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৩, এরপর ফ্লোরিডায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৮৯, টেক্সাসে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ এবং নিউইয়র্কে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এমন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে জর্জিয়া, ইলিনয়, নিউজার্সি এবং অ্যারিজোনা।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।