করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে মৃত্যু বেড়েছে। এক দিনে আরও ৯৮ জন এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৭৮১ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জন মারা গেছেন। গত ১৯ এপ্রিল, দেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় ১১২ জনের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৪ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ছাড়াল ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৬ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
লকডাউন
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
পরবর্তীতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সরকার চলমান লকডাউনটি ২২ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ায়।
২০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে এবং অন্যান্য বিধি-নিষেধ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
১৯ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নতুন লকডাউনে আগের সপ্তাহের সকল বিধি-নিষেধ বহাল রেখে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এটি আরও কঠোর হবে।'
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় সরকার এর বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপের হিসেবে ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী একটি লকডাউন আরোপ করে। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও একটি কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু ঘটে।