এছাড়া তিনি লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
রবিবার সকালে পৃথকভাবে এই মেগা প্রকল্প দুটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি টানেলের খনন কাজ পরিদর্শন করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বিমান যোগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি পতেঙ্গায় যান।
কর্ণফুলী টানেল ও চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে পতেঙ্গার সাগর পাড়ে সভামঞ্চে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মিত হচ্ছে। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। ২০২২ সালের মধ্যে এ টানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মিত হলে চট্টগ্রামে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনে’ পরিণত হবে। চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকার সঙ্গে নদীর অন্য তীরের আনোয়ারা উপজেলাকে সড়কপথে যুক্ত হবে। এ টানেল চালু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পাশাপাশি কর্ণফুলীর দুই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ লেনের ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।