এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পরে আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এইচআরপিবির (হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ) পক্ষে আমরা আজকে একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে, আগে যে আদেশ দেয়া হয়েছিল সেখানে ডেপুটি কমিশনারসহ আরও ৫ জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য।
‘এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এজন্য আমরা বন্দরের চেয়ারমনকে একটা নির্দেশ দেয়ার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম । তিনি যেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।’
তিনি বলেন, শুনানি শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস অনুসারে, ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের আদেশ অনুসারে এগুলো উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালত এ বিষয়ে ১৯ মে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়।
রিটের পর আদালত রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো.রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়দিন চলার পর তা বন্ধ যায়।