সোমবার গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়ান্ট (এপিআই) শিল্পপার্কের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) কার্যক্রমের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পাপন বলেন, ‘সরকার সব সময় ওষুধের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছে। তবে সব সময় তা সম্ভব হয় না। ৯৫ ভাগ ওষুধের দামই স্থিতিশীল ছিল। তবে কাঁচামালের দাম বাড়তে থাকলে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৯৮ ভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করি। এটা আমাদের একটা বড় শক্তি। কিন্তু, ওষুধের কাঁচামালের ৯৫ ভাগ আমরা আমদানি করি। এদিক থেকে আমরা পেছনে। অবশ্য এটা আমাদের জন্য মাথাব্যথা ছিল না। কারণ, বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি করাই লাভজনক ছিল।’
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাপন বলেন, বাংলাদেশে (ওষুধের) বাজার অত বড় নয়। তাই বাইরে থেকে আমদানি করাই লাভজনক। বিশ্বে চীন সবচেয়ে বড় এপিআই উৎপানকারী। তবে, কিছুদিন আগে পরিবেশ রক্ষার ইস্যুতে আড়াই হাজারের মতো এপিআই বন্ধ হয়ে গেছে। সেজন্য কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
‘যেটা ছিল ১২০/১২৫ ডলার সেটা ৩০০ ডলার হয়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকলে দামতো বাড়বেই। কাজেই আমাদের এপিআই যত দ্রুত উৎপাদনে যাবে তত ভালো,’ যোগ করেন তিনি।
পাপন বলেন, দেশে আগে সস্তায় ওষুধ তৈরি হত। কিন্তু, এখন তা আর থাকবে না। প্রত্যেক জিনিসের দাম যখন বাড়ে, তখন ওষুধের দাম আর কত জোর করে কমিয়ে রাখতে পারব? অন্যদিকে ডলারের দামও বেড়ে গেছে। সেজন্য কাঁচামালের দামও বেড়েছে। আমরা পেটেন্টেড ওষুধ বানাতে পারছি না।
‘২৭টি কোম্পানি এখানে ওষুদের কাঁচামাল তৈরি করবে। আমি বলব এখানে প্যারাসিটামল তৈরি করে লাভ নেই। যেসকল ওষুধের দাম বেশি সেসকল ওষুধ তৈরি করার অনুরোধ করব,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মোসতাক হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।