বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনির হোসেনের প্রাক্তন স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলী ওরফে নিপা, আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মো. শরীফ মাতব্বর ওরফে শরীফ এবং ইব্রাহিম খলিল। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম দুইজন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল জমি ক্রয় বিক্রয় বিক্রেতা মনির হোসেনকে খুন হত্যা করার উদ্দেশ্যে আসামি শরীফ মাতব্বর ও নিপা তাদের নিজ বাসায় ডেকে আনেন। মনির তাদের বাসায় আসার পর শরিফ ও আনোয়ারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাদের মধ্যে কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামিরা মনির হোসেনকে বালিশ চাপা দিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে।
পরবর্তীতে তারা মনির হোসেনের লাশ গুম করার জন্য তার মরদেহ ৭ ভাগ করে বস্তায় ভরে মুন্সিহাটি চামচ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে ফেলে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
মনির হোসেনের প্রথম স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগম তার লাশ সনাক্ত করেন। তিনি কামরাঙ্গীরচর থানায় ১৯ এপ্রিল মামলা করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা। উপস্থিত আসামিদের পক্ষে গোলাম কিবরিয়া এবং পলাতকদের পক্ষে এমদাদুল হক লাল মামলাটি পরিচালনা করেন।